কথা সাহিত্যিক মনোজ বসু বাংলা সাহিত্যে অঙ্গনে স্বল্প স্থান দখল করে আছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা বাংলা সাহিত্য নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করেন, তারাই কেবল তাঁর সম্পর্কে জানেন। কিন্তু তাঁর সৃষ্টির বহর যারা জানেন, তারা বিস্ময়ে হতবাক না হয়ে পারেন না। তাঁর সৃষ্টি চৌষট্টিটি সাহিত্য কর্মের মধ্যে তেত্রিশটি উপন্যাস, আটটি নাটক, চারটি ভ্রমণ কাহিনী, তিনটি ছোটদের গল্প, পনেরটি গল্পগ্রন্থ ও একটি কবিতার বই। ভাবতে অবাক লাগে, তাঁর সৃষ্ট বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও তাঁর সৃষ্টকর্ম যথাযথ মূল্যায়িত হয় না।
চর্চ্চা ও গবেষণা না থাকায় মনোজ বসু সাহিত্য জগৎ থেকে নির্বাসিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত। তাঁর রচিত উপন্যাসগুলি আটটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এগুলো হলো সামাজিক, রাজনৈতিক চেতনাধর্মী, গ্রামীণ জীবনধর্মী, শিক্ষামূলক, চোর কাহিনী, অতি প্রাকৃতিক ও রোমাঞ্চ উপন্যাস। এছাড়াও তার গল্পগ্রন্থ, ভ্রমণ কাহিনী ও কবিতা তাঁকে অনন্য সাহিত্য স্রষ্টা মর্যাদার দাবী রাখে। সাহিত্যের অনেক গলি পথে তার পদচারণ থাকলেও আমরা মনোজ বসুকে যথার্থই পাই তাঁর গ্রাম, গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতি রচনার মধ্যে।
মনোজ বসুর জন্ম যশোরের কেশবপুর উপজেলার ৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়নের অজ পাড়াগাঁ ডোঙাঘাটা গ্রামের বসু পরিবারে। ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জুলাই, বাংলা ১৩০৮ সনের ৯ শ্রাবণ মাতা বিধুমুখি বসুর কোল আলো করে এই ধরাধামে তাঁর আগমন। সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্র তিনি পৈত্রিক সূত্রে পান। পিতা রামলাল বসু ও পিতামহ ঈশ্বরচন্দ্র বসুসহ পরিবারের অনেকেই সাহিত্য চর্চায় অভ্যস্ত ছিলেন। বাল্যকালে তিনি গ্রাম্য পাঠশালায় শিক্ষা জীবন শুরু করেন, পরে পাঁজিয়া হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন। এরপর ভর্তি হন কলকাতার রিপন কলেজিয়েট স্কুলে। ১৯১৯ সালে এখান থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এ সময় তিনি রাজনীতির সংগে জড়িয়ে যান। ১৯২২ সালে তিনি বাগেরহাট কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন। কলকাতায় ফিরে সাউথ সাব-আরবান কলেজে বিএ পড়েন এবং ১৯২৪ সালে বি এ পাশের মাধ্যমে শিক্ষা জীবনের ইতি টানেন।
কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষাকতার মাধ্যমে। এই পেশায় তিনি বিশ বছর নিয়োজিত ছিলেন। পরে বেঙ্গল পাবলিশার্সের স্বত্বাধিকারী হিসেবে জীবনের সমাপ্তি ঘটে। কর্ম জীবনে ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি বীরভূমের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গুরুসদয় দত্তের সংস্পর্শে এসে “পল্লী সম্পদ রক্ষা সমিতি”র যুগ্ম-সম্পাদক হিসাবে সারা বাংলার গ্রাম থেকে গ্রামান্তর চষে বেড়িয়েছেন। এ কাজের মাধ্যমে তিনি সহকর্মী হিসেবে পেয়েছিলেন ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ ও ‘নকশি কাঁথার মাঠ’ কাব্য গ্রন্থের স্রষ্টা গ্রাম বাংলার দরদী ও মরমী কবি জসিম উদ্দীন কে। সোজন-দুলি ও রোপাই-সাজুকে নিয়ে গ্রাম বাংলা, নদী-নালা, খাল-বিল-হাওর ও বন-বনানির পটভূমিতে রচিত কাব্য দু’খানা তাঁর মানস পটে ছিল উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের ন্যায়। তারই আলোতে অবগাহন করেছেন মনোজ বসু। পরবর্তীকালে গ্রামীণ সাহিত্যের প্রতি মনোজ বসুর যে ভালবাসার পরিচয় পাওয়া যায়, তাঁর ভিত্তিভূমি ছিল ওই কাব্যদ্বয়। কবি জসিম উদ্দিনের সংস্পর্শে এসে এবং পল্লী সম্পদ রক্ষা সমিতির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশরের স্মৃতিপটে থাকা দৃশ্যকে তিনি হৃদয়পটে আর একবার গেঁথে নিলেন। এমনিতেই গ্রামের অজপাঁড়া গাঁ, তারসাথে বিল ধারে বাড়ি; ছোট বেলা থেকে গ্রাম-খাল-বিল, নদী-নালা, হাওর-বাওড়, বন-বনানী, মেঠপথ, ঘাসফুল ছিল তাঁর নিত্য দিনের সাথী। জীবন-জীবিকার তাগিদে শহরে জীবনযাপন করলেও তাঁর অন্তর জুড়ে ছিল গ্রাম বাংলার সবুজ প্রকৃতি। গ্রাম ও প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে মনোজ বসুকে খুঁজতে গেলে যে মনোজ বসুকে পাওয়া যাবে- তা হলো অস্থিমজ্জাহীন কঙ্কালসার মূর্তি। মনোজ বসু নিজেই বলেছেন ,‘কলকাতায় থাকি, শহর রাজ্যের ভিতর অহরহ গ্রাম আবিষ্ট করে রাখে।’
বাংলার নদ-নদী, মাটি ও মানুষের জীবনের সংগে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে থাকার জন্য ‘সেই গ্রাম সেই সব মানুষ’, ‘বন কেটে বসত’ ও ‘জলজঙ্গল’ উপন্যাসের চরিত্রগুলি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। অরণ্য প্রকৃতির সংগে অফুরান্ত প্রাণ প্রাচুর্য্যে ভরা বাদার মানুষের জীবন। লক্ষ্মীর ভান্ডের সংগে স্বাপদ-সংকুল জীবনাশ্রয়ী মানুষের জীবন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। তাই জীবন-জীবিকার খোঁজে শহর পানে ছোটাকে মনোজ বসু সমর্থন করেননি। ‘বন কেটে বসত’ উপন্যাসে মনোহর ডাক্তারকে বলতে শুনি, “শহর আর শহর-ওইতো মরণ হয়েছে মানুষের। ঝাঁকে ঝাঁকে শহরে এসে মরবে আলোর পোকার মতন। বলি আছে কি শহরে ?” শহরকে বাদ দিয়ে গ্রাম-বাংলার মাঠ-ঘাট-প্রান্তরে অফুরান্ত সম্পদ সুষ্ঠু ব্যবহার ও সংরক্ষণের অভাবের দারিদ্রের পদধ্বনি শোনা যায়। তাই শহরমুখী না হয়ে প্রকৃতির নিবিড় কোল সুন্দরবন তথা বাদা অঞ্চলে অফুরান্ত সম্পদের দিকে ধাবিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই উপন্যাসে প্রকৃতির সন্তান জগন্নাথ গগন বাবুকে বলেছেন ,“খুটোয় বাঁধা গরু তোমরা। ভিটে বেড় দিয়ে চক্কোর মার। আরে বেরিয়েছ তো আবার কেন সেই খোপে ফিরবে? ডাঙ্গা রাজ্যে মানুষ কিলবিল করে। জায়গা জমি টাকা পয়সা সকলে বাটোয়ারা করে নিয়েছে। বুদ্ধি শোন বড়দা, ডাঙ্গার দেশ নয়- ভাঁটি ধরে তরতর করে নেমে যাবে গাজীর নাম নিয়ে। কত বড় দুনিয়া। মানুষ জন এখনও সেদিকে জমাতে পারেনি-তুমি গেলে তুমিও দিব্যি জমিয়ে নেবে।” এ উপন্যাসে গ্রাম বাংলার তৎকালীন অভাবগ্রস্ত মানুষের ভাগ্যান্বেষণে সুন্দরবনকে সম্বল করে বেঁচে থাকার তীব্র প্রয়াস লক্ষণীয়। অসংখ্য দারিদ্র ক্লিষ্ট মানুষ সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর করে নদী ও বাদা অঞ্চলে সম্পদ আরোহন করতে গিয়ে যে সকল প্রতিবন্ধকতা ও কিংবদন্তী অতি প্রাকৃতিক কল্পকাহিনী তিনি লোকমুখে শুনেছেন, নিজে দেখেছেন তার আলোকে রচিত কাহিনীকে তিনি জীবন্ত করে তুলেছেন।
শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি গ্রাম ও গ্রাম্য জীবন তুলে ধরেছেন। স্মৃতিকথা বলতে গিয়ে উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য ক্ষুন্ন হয়েছে। এটা বুঝেও সজ্ঞানে তিনি তার ভিতরকার দিকটাই প্রাধান্য দিয়েছেন। ‘ছবি আর ছবি’ উপন্যাসে লেখক নিজে অনন্ত হয়ে নিজ স্মৃতির গহনে পায়চারি করে নির্বাসনের দুঃখ ভোলার চেষ্টা করেছেন। অনন্ত এক জায়গায় আক্ষেপ করে বলেছেন, “হায়রে হায়, এই সুতিঘাটার গল্প আবার আমায় নতুন করে লিখতে হলো।” এইতো সেদিন ‘কান্নার গাড়ি’ সে গল্পের নাম নজরে পড়েছে। কান্নার গাড়ি মনোজ বসুর রচনা। এখানে ‘মানুষ গড়ার কারিগর’ উপন্যাসের ইঙ্গিত বহন করে। ‘ছবি আর ছবি’ উপন্যাসের নায়ক অনন্তের বাড়িও ডোঙ্গাঘাটা গ্রামে।
সুদূর অতীত থেকে অদ্যবধি গ্রামাঞ্চলে চৌর্যবৃত্তি নিয়ে অনেক গল্প-কাহিনী বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে শোনা যায়। সেই সব গল্প কাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেছে মনোজ বসুর নিশিকুটুম্ব‘র সাহেব। চোরকে নিয়ে সাহিত্য রচনা করতে গিয়ে লেখক সাহেবের ভিতর যে মানবিকতার খোঁজ পেয়েছেন, তারও জন্ম গ্রাম বাংলায়। লেখক বলেছেন, “অমৃত্বের বেটাবেটি সব, ভাল না হয়ে উপায় আছে?”। লেখক সাহেবের গুরু ভক্তির সাথে মানবিকতার অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন। রাজনৈতিক চিন্তাধারায় রচিত উপন্যাসে লেখক অদূরদর্শী রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ বিভাগের ফলে যে সকল হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয়েছে, তাদের একজন হয়ে তিনি হাঁড়ে হাঁড়ে তা উপলব্ধি করেছেন। জন্মভূমির প্রতি নাড়ির টান তিনি তীব্রভাবে অনুভব করেছেন। নিজদেশে পরবাসি হওয়ার কঠিন কষ্ট তাকে সারাক্ষণ কুরে কুরে খেত। শৈশব-কৈশরের নিজ বাড়ি, নিজ গ্রাম, নিজদেশ তাকে সারাক্ষণ ছায়ার মত অনুসরণ করত। চেনা গ্রাম ও চেনা মানুষগুলোর মুখ সারাক্ষণ মনোজ বসুকে ঘিরে রাখতো। তাই তিনি বলেছেন-“বাল্য ও কৈশরটা আবার একটু যদি নাগালের মধ্যে পাই, আঁকড়ে ধরি বুকের উপর-ছেড়ে যেতে দেইনা। কত ভালবাসার ধন, এবারে মর্মে মর্মে টের পাচ্ছি। শুধু মাত্র মানুষগুলো নয়- গাছপালা, গরু-বাছুর, খাল-বিল, সুখ-দুঃখ আশা উল্লাসে ভরা আমার সেকালের গ্রাম, আর সমস্ত অঞ্চলটা। কোন গাছের ডালটা কোন দিকে, তাও সঠিকভাবে বলে দিতে পারতাম। চোখ বুজে ভাবলে আজও বোধ হয় পারি।” লেখকের এই উক্তির মধ্যেই তাঁর মানস স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
শুধু উপন্যাস সাহিত্যেই নয়, মনোজ বসুর কবিতা ও স্মৃতিচারণেও তারঁ মনোভাব সুস্পষ্ট। নিজের স্মৃতিকথা বলতে গিয়ে তিনি অপকটে বলেছেন- “বাল্যকাল থেকে দারিদ্রের সংগে সংগ্রাম করেছি। নিজেকে একজন সংগ্রামী মানুষ ভাবতে এই বার্ধক্যেও ভাল লাগে। বলতে লজ্জা নেই, খুব গরীব ছিলাম আমরা। অভাব এবং দুর্ভাগ্যের ভেতরে কেটেছে বহুকাল। বাবা মায়ের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান আমি। বাবা মারা গেছেন আট বছর বয়সে। বাবার মুখখানাও ভাল মনে পড়েনা। মায়ের কাছে শুনেছি, বাবার গায়ের রং ছিল ফর্সা, মাথায় টাক, লম্বা-চওড়া দশাসই মানুষ। বাবার রং আমি পাইনি, তবে টাক পেয়েছি। আর লম্বাও হয়েছি। গ্রামের পাঠশালায় পড়ার সময় বাবা মারা যান। বাবার স্মৃতি ঝাপসা; তবুও কিছু কিছু মনে পড়ে। আত্মস্মৃতিমূলক বহু রচনাতে সেকথা বহু ভাবে লিখেছি।” লেখকের নিজ স্মৃতিতে গ্রাম বাংলা ও মাটি মানুষ উঠে এসেছে।
কসবারপথ, নাগরঘোপ, মীর্জানগর, কেশবপুর, মনিরামপুর হাট, পাঁজিয়ার নূতন বাড়ি, পুরাতন বাড়ি, কানাপুকুর, কাজেম গুরুর পাঠশালা, আসাননগর বিল, কোনাখোলা, মনোহরপুর, আটঘরা, হাসাডাঙ্গা, গড়ভাঙ্গা, মাদারডাঙ্গা, বেলকাটি ফকির বাড়ি, কানাইডাঙ্গা প্রভৃতি জনপদ। মনোজ বসুর ‘সেই গ্রাম সেই সব মানুষ’ গ্রন্থে গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি একান্নবর্তী পরিবারের পারিবারিক বন্ধনের সাথে লোকাচার, সমাজ-সামাজিকতা, আচার-অনুষ্ঠান, ধর্ম-কর্মাদি তুলে ধরে আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে সকল ধর্ম-কর্মের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলো সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। তাঁর কবিতায়ও অভাবি খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। অভাবি কৃষকের বেঁচে থাকার সম্বল গাভীগুলি বিক্রি করার পর হৃদয়ের আহাজারী লেখককে ব্যথিত করেছে। তাই তিনি সেই কৃষকের জবানীতে বলেছেন,
‘গেল বছর চৈত মাসেতে তিনটে বেচলাম গাই
গোয়াল কাঁন্দে ডাক ছাইড়ারে
তিনটি দিন আর গোয়াল পানে নজর তুলি নাই।’
এছাড়া ‘পাটের ক্ষেতের মায়া’, ‘গোপন কথা’, ‘কনে ডিঙ্গায় উঠলো’, ‘এসো রূপবতী’ প্রভৃতি কবিতায় শাশ্বত গ্রাম বাংলার চিত্র ফুটে উঠেছে। সেখানে তিনি এভাবে বলেছেন-
‘কনে কাঁদিতেছে, গালে জলধারা, রক্তের মতো উহাও লাল
কুলেতে সানাই কাঁদিয়া কাঁদিয়া আকুলিয়া তোলে সারা সকাল’।
পরিশেষে তাঁর সমগ্র সৃষ্টি পর্যালোচনা করলে মনে হয় তিনি কবি বা সাহিত্যিক হতে চাননি; বরং তাঁর সমগ্র জীবনযাত্রার পরতে পরতে সংগৃহিত সমগ্র উপলব্ধি, অনুভূতি ছবির মত ধারণ করে পাঠকের কাছে অকৃত্রিমভাবে তুলে দিয়েছেন। এই মহান কর্ম করতে সাহিত্যের চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণে উপন্যাস বা গল্পের মান কোথাও ক্ষুন্ন হয়েছে। চরিত্রসজ্জা কাঠামোও বিঘ্নিত হয়েছে, আবার কখনও কখনও প্রকৃতি, বন-বনানী, গাছপালা, নদী-নালা, খাল-বিল মূখ্য চরিত্র হয়ে দেখা দিয়েছে। লেখক অবচেতন মনে বার বার ফিরে গেছেন শেকড়ের সন্ধানে। গ্রামের মাটিও সহজ-সরল মানুষ উঠে এসেছে তাঁর সৃষ্টির উপজীব্য হয়ে। লেখকের পুরো জীবনটাই তিনি ভিডিও ফুটেজের মত পাঠকের কাছে অমীয় বার্তা হিসেবে পৌঁছে দিয়েছেন। এখানেই আমাদের ঋণ; আমাদের সাহিত্যিক মন দায়বন্ধ তাঁর অমর কর্মের কাছে।
লেখক পরিচিতিঃ
মোঃ রুহুল আমিন
অধ্যক্ষ, পাঁজিয়া ডিগ্রী কলেজ
পাঁজিয়া, কেশবপুর, যশোর, বাংলাদেশ ।
সাংবাদিক ও কলামমিস্ট
মোবাঃ ০১৭১৮-৬১১৫৫০, ই-মেইলঃ ruhulamin0655@gmail.com