আবুল হুসাইন জাহাঙ্গীর এর ‘ডহরী’ও কিছুকথা || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

কিছুদিন পূর্বে আমার এক লেখক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে যাই। পারস্পারিক কুশল বিনিময়ের পর বন্ধুর পড়ার টেবিলের পাশে বসলাম। টেবিলের একপাশে কয়েকটা বইয়ের উপর একটা বই আমার নজর কাড়ল। বইটির নাম ‘ডহরী’, লেখক আবুল হুসাইন জাহাঙ্গীর। ওই লেখক সম্পর্কে বেশিকিছু আমার জানা নেই। তাই বন্ধুর কাছে তাঁর ও এই বই সম্পর্কে জানতে চাইলাম। এর উত্তরে লেখক…

Read More

কায়কোবাদ ও মহাশ্মশান || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যে কয়েকজন হাতে গোনা কবি মহাকাব্য রচনায় প্রয়াসী হন এবং তাদের সেই প্রয়াস সফলতার মুখ দেখে তাদের মধ্যে অন্যতম কবি কায়কোবাদ। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার জনক মহাকবি মাইকেল মধুসূদনের আবিষ্কৃত পথ ধরে কায়কোবাদ আজ মহাকবি হিসেবে পরিচিত। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত ‘মহাশ্মশান‘ বাংলা সাহিত্যের এক অনবদ্য সৃষ্টি। প্রথম…

Read More

ঝরা মুকুল || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

সবাই অপেক্ষা করছে। কখন আসবে সুমী। সকলের চোখে-মুখে বিষাদের চিহ্ন। কারো কারো চোখের কোনে অশ্রু চিক চিক করছে। কেউ কেউ সংগোপনে অশ্রু মুছছে। কিভাবে, কার সাথে আসবে সুমী! সুমীর বাবা সুকাশ বাবু ও গ্রামের দুরসম্পর্কীয় এক আত্মীয় সুমীর সাথে আছে। কেউ বলছে আসবে এ্যাম্বুলেন্সে, কেউ বলছে অন্য গাড়িতে। সন্ধ্যা সমাগত। সকলের অপেক্ষা তাদের বাড়ি ফেরার।…

Read More

মধুসূদনের “মেঘনাদবধ” – অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিন

বাংলা সাহিত্যের চর্চা সুদূর অতীতের চর্যাপদ থেকে অদ্যাবধি প্রায় হাজার বছর সময় পেরিয়ে এসেছে। বাংলা সাহিত্যের কাননে পরিচর্যারত যত মনীষি মালীর অবির্ভাব ঘটেছে; মধুসূদন ছিলেন তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ। সৌখিন মালী যেমন দেশ-বিদেশের অনিন্দ্য সুন্দর ও দুর্লভ পুষ্পরাজি চয়ন করে নিজের বাগানকে সমৃদ্ধ করে তোলে, ঠিক তেমনি মধুসূদন (১৮২৪-১৮৭৩) পাশ্চাত্য সাহিত্যে কানন থেকে দুর্লভ সাহিত্য…

Read More

ঐতিহাসিক ধূমঘাট এখন শুধুই স্মৃতি

অধ্যক্ষ রুহুল আমিন || ১৫৫৬ খৃষ্ঠাব্দে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের মাধ্যমে বালক সম্রাট জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর বৈরাম খানের অভিভাবকত্যে দিল্লী-আগ্রা পুনঃরুদ্ধার করে মুঘল সালতানাতের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। এরপর সম্রাট  আকবর গোয়লিয়া, আজমীর, জৌনপুর পুনরাধিকার করে মুঘল সালতানাতকে শক্ত ভীতের উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি চিতোর, রনথম্বোর, বিকানীর, কালিঞ্জর, চিতোর, মেবার ও গুজরাটের বিরুদ্ধে বিজয় অভিযান পরিচালনা করে…

Read More

কথা সাহিত্যিক মনোজ মানস – অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

কথা সাহিত্যিক মনোজ বসু বাংলা সাহিত্যে অঙ্গনে স্বল্প স্থান দখল করে আছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা বাংলা সাহিত্য নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করেন, তারাই কেবল তাঁর সম্পর্কে জানেন। কিন্তু তাঁর সৃষ্টির বহর যারা জানেন, তারা বিস্ময়ে হতবাক না হয়ে পারেন না। তাঁর সৃষ্টি চৌষট্টিটি সাহিত্য কর্মের মধ্যে তেত্রিশটি উপন্যাস, আটটি নাটক, চারটি ভ্রমণ কাহিনী,…

Read More

ধামালিয়া জমিদার বাড়ির অজানা কথা || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১নং ধামালিয়া ইউনিয়নের ধামালিয়া গ্রামের সরদার বাড়ি যশোর-খুলনা এলাকায় একটি খ্যাতিমান বাড়ি। এই বাড়িটি বৃটিশ-ভারতের পূর্ব থেকেই বিশেষ মর্যাদা বহন করে আসছে। এলাকার মানুষ শ্রদ্ধার সংগে এই বাড়ির কথা স্মরণ করে। স্থানীয়রা সরদার বাড়ির নাম বলতে গিয়ে বলে থাকে ধামালিয়া জমিদার বাড়ি। আজও পুরাতন ও জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনটি সাক্ষ্য দেয়…

Read More

মনোজ বসুর “নিশিকুটুম্ব” || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

সাহিত্য ও সাংস্কৃতির তীর্থভূমি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা। বাংলা সাহিত্যের বরপুত্র মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি গ্রাম। মধুসূদনের স্মৃতিধন্য এই কেশবপুরকে আরও যারা সম্মানিত করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ডোঙ্গাঘাটা গ্রামের মনোজ বসু। গ্রাম ও মাটি-মানুষের মুখপাত্র এই সাহিত্যিকের রচনায় গ্রাম্য সমাজের নিখুঁত চিত্র ফুটে উঠেছে। তাঁর চৌষট্টিটি রচনাবলির ভিতর তেত্রিশটি উপন্যাস, আটটি নাটক,…

Read More

কালাপাহাড় ফকিরের (মাদার ফকির) দরগা || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

‘ফকির’ শব্দের আবিধানিক অর্থ মুসলমান ভিক্ষুক, নিঃস্ব, দরিদ্র, সর্বহারা, সংসার ত্যাগী, মরমী সাধক। কিন্তু এই আলোচনায় যে ফকিরের কথা তুলে ধরতে চাই তিনি একজন মরমী সাধক। ফকির তার উপাধি। বাংলাদেশের যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ৬নং কেশবপুর ইউনিয়নের পূর্ব সীমানার একটি গ্রামের নাম মাগুরাডাঙ্গা। কেশবপুর সদর থেকে পাঁজিয়া সড়ক পথে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার পূর্বে গেলেই…

Read More

মনোজ সাহিত্যে প্রকৃতি || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

(২৫ জুলাই মনোজ বসুর জন্মদিন স্মরণে) কথাসাহিত্যিক মনোজ বসু বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে খুব একটা পরিচিত নাম নয়। কিন্তু সৃষ্টি সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে গেলে অবাক হতে হয়। তাঁর চৌষট্টিটি সৃষ্টির মধ্যে তেত্রিশটি উপন্যাস আটটি নাটক, চারটি ভ্রমণ কাহিনী, তিনটি ছোটদের গল্প, গল্পগ্রন্থ পনেরটি ও পদ্যরচনা একটি। যে সাহিত্যিকের হাত দিয়ে এতগুলো সৃষ্টি বেরিয়ে আসে, তার সাহিত্য…

Read More