বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যে কয়েকজন হাতে গোনা কবি মহাকাব্য রচনায় প্রয়াসী হন এবং তাদের সেই প্রয়াস সফলতার মুখ দেখে তাদের মধ্যে অন্যতম কবি কায়কোবাদ। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার জনক মহাকবি মাইকেল মধুসূদনের আবিষ্কৃত পথ ধরে কায়কোবাদ আজ মহাকবি হিসেবে পরিচিত। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত ‘মহাশ্মশান‘ বাংলা সাহিত্যের এক অনবদ্য সৃষ্টি। প্রথম বাংলা-মহাকাব্য ‘মেঘনাদ বধ’ হলেও এর রসাস্বাদন হতে বঞ্চিত পাঠকদের বড় অংশ। সেই সকল বঞ্চিত পাঠককুলকে মহাকাব্যের স্বাদ গ্রহণের জন্য কায়কোবাদ উপহার দিলেন প্রাঞ্জল ভাষায় মহাকাব্যের অমৃত সুধা। যা মহাকাব্যের সংজ্ঞা বিঘ্নিত করলেও পাঠকগণ আকণ্ঠ পান করেছে।
বাংলা সাহিত্যে একমাত্র সার্থক মুসলিম মহাকবি কায়কোবাদ ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আগলা গ্রামে ১৮৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কায়কোবাদ তাঁর ছদ্মনাম; কবির আসল নাম মুহম্মদ কাযেম আল কোরায়শী। কবির আত্মজীবনী হতে জানা যায়, তিনি অল্প কিছুকাল ঢাকার মাদ্রাসায় শিক্ষালাভ করে গ্রামে ফিরে যান এবং সেখানেই পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার হয়ে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন।
কায়কোবাদের কবি জীবনকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। প্রথম পর্যায়- ‘গীতিকাব্যের’, ১৮৭০ হতে ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। দ্বিতীয় পর্যায়- ‘মহাকাব্যের’, ১৮৯৪ হতে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত এবং তৃতীয় পর্যায়- ‘বৈচিত্র্যের যুগ’, ১৯১৫ হতে মৃত্যুকাল পর্যন্ত। কেননা এই সময় কবি খণ্ড কাব্য, কাহিনী কাব্য, ধর্মাবেগপূর্ণ মহাকাব্য এবং জাতীয় গীতিগুচ্ছ রচনা করেছিলেন। কবির অশ্রুমালা (১৮৯৫) কাব্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর কবির ‘মহাশ্মশান’ (১৯০৬) কাব্য প্রকাশিত হলে অনেকেই তাকে ‘মাইকেল দি সেকেন্ড’ নামে অভিহিত করেছেন।
খৃষ্টীয় ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগ হতে বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য রচনা আরম্ভ হয়। বাংলা সাহিত্যের কবি প্রতিভার যথার্থ স্ফুরণ হয়েছে গীতিকাব্যে। ১৮শ’ শতকে পাশ্চাত্য সাহিত্যের প্রবল প্রভাব বাংলা সাহিত্যকেও প্রভাবিত করেছে। তখন পাশ্চাত্য সাহিত্যের আদর্শ ছিল ক্লাসিক্যাল। এই আদর্শে দীক্ষিত হয়ে বাঙালী কবিরাও মহাকাব্য রচনাকেই শ্রেষ্ঠ কবি প্রতিভার উপযুক্ত ক্ষেত্র বলে মনে করেছিলেন। ১৯শ’ শতকের কবিগণের ধারণা ছিল যে, সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য হচ্ছে মহাকাব্য এবং একমাত্র মহাকাব্য রচনাতেই কবি প্রতিভার সম্যক স্ফুরণ হয়ে থাকে ও অনায়াসে মহাকবি আখ্যা মিলতে পারে। তাই ১৯শ’ শতাব্দীর শেষার্ধে কবিগণ মহাকাব্য রচনার প্রতি সবিশেষ আকৃষ্ট হয়েছিলেন।
বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য রচনার সূত্রপাত করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি মধুলোভী মৌমাছির মত পাশ্চাত্য কাব্য কুসুম হতে তিল তিল করে মধু সংগ্রহ করে প্রাচ্য সাহিত্য বাগানে মধুর চাক রচনা করেছিলেন। মধুসূদনকে অনুসরণ করে মহাকাব্য রচনায় যারা সচেষ্ট হয়েছিলেন তাদের মধ্যে হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নবীনচন্দ্র সেন অন্যতম। মধুসূদন, হেমচন্দ্র্র ও নবীন চন্দ্রের পরে মহাকাব্যের ধারা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। কেননা, এই সময় দেশে গীতিকাব্যের বন্যা বয়ে যায়। তথাপি বিংশ শতাব্দীতে কোন কোন কবি মহাকাব্য রচনার মোহ ত্যাগ করতে পারেননি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কবি কায়কোবাদ, যোগীন্দ্রনাথ বসু, হামিদ আলী প্রমুখ। কায়কোবাদের একটা বড় সাধ ছিল তিনি বড় কবি বা মহাকবি হবেন। হৃদয়ের এই অদম্য আশা নিয়ে কাব্য সাহিত্যের গতানুগতিক পথ ত্যাগ করে মহাকাব্য রচনার চেষ্টা করেন। তার এই চেষ্টা প্রায় দশ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর সফলতার রূপ পায়; সৃষ্টি হয় তার বিখ্যাত মহাকাব্য ‘মহাশ্মশান’।
পরবর্তী সময়ে তার এই মহাকাব্য তাকে মহাকবিতে রূপান্তরিত করে। কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ কাব্য সম্পর্কে অনেকে বিরূপ মনোভাব পোষণ করে থাকে। সমালোচকদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, ‘ইহা মহাকাব্য নহে, কাহিনী কাব্যমাত্র’। কিন্তু তাদের এই উক্তি বিদ্বেষমূলক ছাড়া আর কিছুই নয়। পরশ্রীকাতরতাও বলা যেতে পারে। অনেকে ভ্রান্ত ধারণা থেকেও এরূপ মন্তব্য করে থাকে। মহাকাব্যের রূপ বা কাঠামো সম্বন্ধে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মত প্রচলিত আছে। প্রাচ্যের তথা সংস্কৃত আলঙ্কারিকদের মতে, আশীর্বচন, নমস্ক্রিয়া অথবা বন্তুু নির্দেশ দ্বারা কাব্যারম্ভ হয় এবং নায়ক হবেন সকল সৎগুণের সমষ্টিভূত, স্বর্গসংখ্যা অষ্টাধিক এবং পটভূমি স্বর্গ-মর্ত্য পাতাল প্রসারী। এতে শৃঙ্গার বা আদি, বীর ও শান্ত এই তিনটির যেকোন একটি রস প্রধান থাকবে এবং অপরাপর রসগুলি এদের অঙ্গস্বরূপ হবে। প্রসঙ্গক্রমে এতে বিভিন্ন ছন্দে প্রকৃতি, যুদ্ধবিগ্রহ স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল প্রভৃতির বর্ণনাও থাকতে পারে। ভাষা ওজস্বী ও গাম্ভীর্যব্যঞ্জক হবে। নায়কের জয় বা আত্মপ্রতিষ্ঠার মধ্যে মহাকাব্যের সমাপ্তি হবে-কারণ, ট্রাজেডির স্থান এতে নেই। প্রাচ্যের আলঙ্কারিকদের মতে, মহাকাব্যের যে রূপগত বৈশিষ্ট্য তার সঙ্গে পাশ্চাত্য Epic বা মহাকাব্যের কতিপয় বৈসাদৃশ্য থাকলেও ভাষাগত সাদৃশ্য বর্তমান।
পাশ্চাত্য আলঙ্কারিক Aristotle-এর মতে, “An epic should be based on a single action one that is a complete whole in itself, with a beginning, middle and an end. So as to enable the work to produce it’s our proper pleasure with all organic unity of a living creature”.
কায়কোবাদ নিজেও মহাকাব্যের রূপগত বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে তার ভূমিকায় বলেছেন, “তাহাতে (মহাকাব্য) বিশেষ একটি লক্ষণ আছে, কেন্দ্র আছে। কোন একটি বিশেষ লক্ষণ ঠিক রাখিয়াও ভিন্ন ভিন্ন গঠন প্রণালী অনুসরণ করিয়া নানারূপ মাল-মসলার যোগে বহু কক্ষ সমন্বিত একটি সুন্দর অট্টালিকা নির্মাণ করেন। ইহার প্রত্যেক কক্ষের সহিত প্রত্যেক কক্ষেরই ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ, অথচ সকলগুলিই পৃথক। সেই পৃথকত্বের মধ্যেই আবার একত্ব, ইহাই কবির নতুন সৃষ্টি ও রচনা কৌশল। ইহাই মহাকাব্য।”
মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ কাব্যটি মনোযোগ সহকারে পড়লে দেখা যায় মহাকাব্যের বহিরাঙ্গ গঠন প্রণালীর ও আলঙ্কারিক গুণের অভাব এই কাব্যটিতে নেই। কাব্যটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অবলম্বনে রচিত। এই কাব্যটি ভূমিকাসহ মোট একষট্টি স্বর্গে তিন খণ্ডে বিভক্ত। হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কাব্যটির অন্তর্নিহিত ভাবসত্য লক্ষ্য করে গভীর মর্মাহত হৃদয়ে করুণ কণ্ঠে বলেছেন-“হায় পানি পথ দারুণ প্রান্তর, কেন ভাগ্যাসনে হানিলে অন্তর।” সত্যই এই পানিপথ ভীষণ প্রান্তর। এর ‘রেণুতে, স্তবকে স্তবকে কত শোকস্মৃতি জড়িত রয়েছে, কত বিশাল সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ ও অস্থিমজ্জা এর সাথে মিশে গেছে। একদিকে মুসলিম রাজশক্তির বিরুদ্ধে পেশবাপুত্র সদাশির রায়ের নেতৃত্বে মারাঠা জাতি ভারতে হিন্দু সাম্রাজ্য স্থাপনের স্বপ্নে যুদ্ধ আয়োজনে মেতে উঠেছে। অন্যদিকে আবার রোহিলা খন্ডের নবাব নজিবুদ্দৌলা ভারতের মুসলিম শক্তিপুঞ্জ একত্র করে আফগান অধিপতি আহমদ শাহ আবদালীর সহায়তায় মুসলমানদের জাতীয় গৌরব ও সংহতি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বদ্ধপরিকর। যুদ্ধশেষে মারাঠাদের শোচনীয় পরাজয় ও মুসলমানদের বিজয়ের মধ্য দিয়ে এর পরিসমাপ্তি ঘটেছে। মূল কাহিনীকে কেন্দ্র করে একাধিক শাখা, প্রণয় কাহিনী আলোচ্য মহাশ্মশান কাব্য গড়ে উঠেছে। তাই এ কাব্যে আদিরস, বীররস ও অন্যান্য রসের অভাব কাব্যটিতে ঘটেনি।
বিশ শতকেও আমরা মহাকাব্য পেয়েছি কিন্তু সমসাময়িক গীতিকাব্যের আন্তরিকতা, সত্যবোধ এবং দীপ্তির কাছে এর মূল্য অনেক ক্ষীণ হয়েছে। এই শতকের মহাকাব্যের কবিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন কায়কোবাদ। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কায়কোবাদের পরিচয় মহাকবি হিসেবে। তার এই মহাকাব্য রচনার পেছনে প্রধান প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে স্বদেশ ও স্বজাতিপ্রেম। উনিশ শতকের মধ্যভাগে হিন্দু কবিরা যেমন মনুষ্যত্বের আদর্শকে উপলব্ধি করতে চেয়েছেন বীরধর্মের পটভূমিকায়, তেমনি বীরধর্মের চিত্র আঁকার নিরাপদ অবলম্বন খুঁজে পেয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। ইসমাইল হোসেন সিরাজীর মত কায়কোবাদও চেয়েছিলেন অবিভক্ত ভারতের সমস্ত মুসলমানকে জাগিয়ে তুলতে, অলস অসাড় জাতির জীবনে চাঞ্চল্যের প্রাণবন্যা সৃষ্টি করতে। তার সচেতন মন আজীবন জাতির সমস্যার দিকে নিবদ্ধ ছিল এবং সেই মনেরই সৃষ্টি কবির জাতীয় আখ্যান কাব্যগুলি।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কবি কায়কোবাদের পরিচয় তাঁর ‘মহাশ্মশান’ কাব্যের মধ্য দিয়ে। এই কাব্যই তাকে বাংলা কাব্যের ধারায় অমরত্ব দান করেছে। অবশ্য মহাকাব্য হিসেবে তাঁর কাব্যে যে কোন ত্রুটি নেই, একথা বলা যাবে না। কবি ক্লাসিক হয়েও রোমান্টিকতা মুক্ত হতে পারেননি, আর পারেননি বলেই বাঙালীসুলভ প্রীতি প্রবণতা তাঁর কাব্যে স্থান করে নিয়েছে। মহাকাব্যের ক্লাসিক সংযমকে অতিক্রম করে কোন কোন ক্ষেত্রে রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন। যুদ্ধে’ দু’টি ঐতিহ্যবান জাতির সংঘাত এবং সেই সংঘাতে সৃষ্ট ব্যক্তির জীবনে ব্যর্থতা এবং ‘একদিকে যেমন হিন্দু-মুসলমান জাতির বল বীর্য ও ঐশ্বর্য বর্ণনা করেছেন, অন্যদিকে তেমনি ইব্রাহিম-জোহরার প্রেমে নৈতিক দ্বন্দ্ব, আতা খাঁ হীরনের একনিষ্ঠ প্রেম, সেলিনার একনিষ্ঠ আত্মত্যাগ ইত্যাদি কথাও ব্যক্ত করেছেন।
আসলে কায়কোবাদের প্রতিভা ছিল গীতিমুখর। তাই মহাকাব্যের গুরুগম্ভীর শান্ত-সংযত ও সংহত সীমায়িত রূপের মধ্যেও গীতিকাব্যের অন্তঃসলীল ফল্গুধারাটি প্রকাশ পেয়েছে। ক্লাসিক কাব্যের সুমহান শিল্পাদর্শ, সুকঠিন সংযম এবং সুগভীর প্রজ্ঞা কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ কাব্যে রূপ লাভ করেনি। কোথাও ক্লাসিক রচনার চকিত পরিচয় থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু আসলে এইগুলি নিছক কাহিনী কাব্য যার প্রেরণা বাঙালী কবিরা লাভ করেছে স্কট, বায়রণ প্রভৃতি কবির কাব্যে।
‘মহাশ্মশান’ ঐতিহাসিক মহাকাব্য, আলঙ্কারিকদের নির্দেশিত সীমারেখা এতে লঙ্ঘিত হয়নি। সার্থক মহাকাব্যচিত্ত সমন্ত গুণাবলী কাব্যটিতে না থাকলেও অধিকাংশ গুণের সমাবেশ এতে ঘটেছে। মহাকাব্যের অন্যতম এবং প্রধানতম শর্ত মহাকাব্য বীররস প্রধান হবে। কিন্তু কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ কাব্য তা হয়নি। এ দোষ শুধু কায়কোবাদের নয়, দোষ বাংলার মাটির। বাংলার রসাল মাটিতে বীররস প্রধান মহাকাব্য রচিত হতে পারেনি। মধুসূদনের ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্য তার উজ্জ্বল উদাহরণ। মধুসূদন ‘মেঘনাদ বধে’র শুরুতে বড় আস্থা নিয়ে বলেছিল- ‘গাইব, মা, বীররসে ভাসি মহাগীত; কিন্তু পরিণামে- “সপ্ত দিবা-নিশি লঙ্কা কাঁদিলা বিষাদে”। মধুসূদনের পর হেম-নবীনের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। তাই সার্থক মহাকাব্য সৃষ্টি না হওয়ার জন্য কায়কোবাদ এককভাবে দায়ী নয়। কায়কোবাদ প্রথম সার্থক মুসলিম কবি, যিনি মহাকাব্য রচনা করেছেন। তার ‘মহাশ্মশান’ কাব্যটি মানবীয় আবেদনের মানদণ্ডে তার পূর্বসূরিদের কাব্যাপেক্ষা সুন্দর ও অভিনবত্বের দাবী রাখে।
লেখক পরিচিতি
অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিন
অধ্যক্ষ, পাঁজিয়া ডিগ্রী কলেজ
ডাকঘরঃ পাঁজিয়া, উপজেলাঃ কেশবপুর, জেলাঃ যশোর।
সাংবাদিক ও কলামমিস্ট।
মোবাঃ ০১৭১৮-৬১১৫৫০, ই-মেইলঃ ruhulamin0655@gmail.com
পত্র প্রাপ্তির ঠিকানাঃ
মোঃ রুহুল আমিন (অধ্যক্ষ), গ্রাম- আলতাপোল (অফিস পাড়া), উপজেলা রোড, উপজেলা মসজিদ সংলগ্ন, ডাকঘর- কেশবপুর, জেলা- যশোর।