jasim-uddin

পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীন ও তাঁর মনস্বীতা

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে যে কজন কবি সাহিত্যিক লেখনিতে পল্লী গ্রাম বাংলার কথা তুলে ধরেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জসীম উদ্‌দীন। তাঁর সমগ্র লেখনিতে যে ছবি স্পষ্ট ফুঁটে উঠেছে, তার সিংহভাগই গ্রাম বাংলার মা-মাটি মানুষের কথা। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও তাঁর লেখনিতে বাংলার মাঠ-ঘাট প্রান্তরের ছবি ফুঁটে তোলাতে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত।   পল্লী…

Read More

রবীন্দ্রনাথের ‘বলাকা’ ও কবি ভাবনা || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রাণপুরুষ। বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে সকল গলিপথে যার সদম্ভ বিচরণ। শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিরামহীন লেখনী তাঁকে অমরত্ব এনে দিয়েছে। নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্য আসরে বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিকে তিনি মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। তাঁর জীবদ্দশায় সমসাময়িক সাহিত্যকর্মীরা তার কাছ থেকে পেয়েছে প্রেরণা। চির সুন্দরের কবি রবীন্দ্রনাথ। সুন্দরের সংগে গতির…

Read More

রবীন্দ্রনাথের কাব্যলক্ষ্মী || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

বাংলা সাহিত্যের আধুনিকতার জনক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তাঁর হাত ধরে বাংলা সাহিত্য আধুনিকতার পথে যে যাত্রা শুরু করে, তার বিকাশ শ্রীবৃদ্ধি হয়ে ফুলে-ফলে সুবাসিত হয়ে ওঠে রবীন্দ্রনাথের হাতে। সাহিত্য ও সংস্কৃতির এমন কোন গলিপথ নেই রবীন্দ্রনাথ যে পথে হাঁটেননি। তার সাহিত্য সাধনার বিশ্বস্বীকৃতি পান ১৯১৩ সালে নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে। বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল…

Read More

আবুল হুসাইন জাহাঙ্গীর এর ‘ডহরী’ও কিছুকথা || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

কিছুদিন পূর্বে আমার এক লেখক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে যাই। পারস্পারিক কুশল বিনিময়ের পর বন্ধুর পড়ার টেবিলের পাশে বসলাম। টেবিলের একপাশে কয়েকটা বইয়ের উপর একটা বই আমার নজর কাড়ল। বইটির নাম ‘ডহরী’, লেখক আবুল হুসাইন জাহাঙ্গীর। ওই লেখক সম্পর্কে বেশিকিছু আমার জানা নেই। তাই বন্ধুর কাছে তাঁর ও এই বই সম্পর্কে জানতে চাইলাম। এর উত্তরে লেখক…

Read More

কায়কোবাদ ও মহাশ্মশান || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যে কয়েকজন হাতে গোনা কবি মহাকাব্য রচনায় প্রয়াসী হন এবং তাদের সেই প্রয়াস সফলতার মুখ দেখে তাদের মধ্যে অন্যতম কবি কায়কোবাদ। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার জনক মহাকবি মাইকেল মধুসূদনের আবিষ্কৃত পথ ধরে কায়কোবাদ আজ মহাকবি হিসেবে পরিচিত। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত ‘মহাশ্মশান‘ বাংলা সাহিত্যের এক অনবদ্য সৃষ্টি। প্রথম…

Read More

ঝরা মুকুল || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

সবাই অপেক্ষা করছে। কখন আসবে সুমী। সকলের চোখে-মুখে বিষাদের চিহ্ন। কারো কারো চোখের কোনে অশ্রু চিক চিক করছে। কেউ কেউ সংগোপনে অশ্রু মুছছে। কিভাবে, কার সাথে আসবে সুমী! সুমীর বাবা সুকাশ বাবু ও গ্রামের দুরসম্পর্কীয় এক আত্মীয় সুমীর সাথে আছে। কেউ বলছে আসবে এ্যাম্বুলেন্সে, কেউ বলছে অন্য গাড়িতে। সন্ধ্যা সমাগত। সকলের অপেক্ষা তাদের বাড়ি ফেরার।…

Read More

মধুসূদনের “মেঘনাদবধ” – অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিন

বাংলা সাহিত্যের চর্চা সুদূর অতীতের চর্যাপদ থেকে অদ্যাবধি প্রায় হাজার বছর সময় পেরিয়ে এসেছে। বাংলা সাহিত্যের কাননে পরিচর্যারত যত মনীষি মালীর অবির্ভাব ঘটেছে; মধুসূদন ছিলেন তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ। সৌখিন মালী যেমন দেশ-বিদেশের অনিন্দ্য সুন্দর ও দুর্লভ পুষ্পরাজি চয়ন করে নিজের বাগানকে সমৃদ্ধ করে তোলে, ঠিক তেমনি মধুসূদন (১৮২৪-১৮৭৩) পাশ্চাত্য সাহিত্যে কানন থেকে দুর্লভ সাহিত্য…

Read More

ঐতিহাসিক ধূমঘাট এখন শুধুই স্মৃতি

অধ্যক্ষ রুহুল আমিন || ১৫৫৬ খৃষ্ঠাব্দে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের মাধ্যমে বালক সম্রাট জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর বৈরাম খানের অভিভাবকত্যে দিল্লী-আগ্রা পুনঃরুদ্ধার করে মুঘল সালতানাতের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। এরপর সম্রাট  আকবর গোয়লিয়া, আজমীর, জৌনপুর পুনরাধিকার করে মুঘল সালতানাতকে শক্ত ভীতের উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি চিতোর, রনথম্বোর, বিকানীর, কালিঞ্জর, চিতোর, মেবার ও গুজরাটের বিরুদ্ধে বিজয় অভিযান পরিচালনা করে…

Read More

কথা সাহিত্যিক মনোজ মানস – অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

কথা সাহিত্যিক মনোজ বসু বাংলা সাহিত্যে অঙ্গনে স্বল্প স্থান দখল করে আছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা বাংলা সাহিত্য নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করেন, তারাই কেবল তাঁর সম্পর্কে জানেন। কিন্তু তাঁর সৃষ্টির বহর যারা জানেন, তারা বিস্ময়ে হতবাক না হয়ে পারেন না। তাঁর সৃষ্টি চৌষট্টিটি সাহিত্য কর্মের মধ্যে তেত্রিশটি উপন্যাস, আটটি নাটক, চারটি ভ্রমণ কাহিনী,…

Read More

ধামালিয়া জমিদার বাড়ির অজানা কথা || অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১নং ধামালিয়া ইউনিয়নের ধামালিয়া গ্রামের সরদার বাড়ি যশোর-খুলনা এলাকায় একটি খ্যাতিমান বাড়ি। এই বাড়িটি বৃটিশ-ভারতের পূর্ব থেকেই বিশেষ মর্যাদা বহন করে আসছে। এলাকার মানুষ শ্রদ্ধার সংগে এই বাড়ির কথা স্মরণ করে। স্থানীয়রা সরদার বাড়ির নাম বলতে গিয়ে বলে থাকে ধামালিয়া জমিদার বাড়ি। আজও পুরাতন ও জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনটি সাক্ষ্য দেয়…

Read More