অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। স্বাধীনতা শব্দ উচ্চারণের সাথে সাথে মনে পড়ে আমার শৈশবের প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা বহুল জীবনের কথা। যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ৮ নং সুফলাকাটী ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামে (কৃষ্ণনগর) আমার বাড়ী। ৬০ এর দশকের শেষাংশে আমি গ্রামের স্কুলের ছাত্র ছিলাম। তখন স্কুলের স্বাধীনতা দিবস পালিত হত ১৪ আগস্ট। আজকের মত তখন বিনোদনের মাধ্যম ছিল অপ্রতুল। তাই শিক্ষকদের তত্বাবধানে স্বাধীনতার প্রস্তুতি সহ উৎসব শেষ হতে প্রায় একমাস লাগত।

১৯৭১ সালে আমি পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। খুব ছোট থেকে আমি স্কুলে যেতাম। স্কুলের নাম ছিল হাড়িয়াঘোপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমার গ্রামের নাম সারুটিয়া। হাড়িয়াঘোপ ও সারুটিয়া লাগোয়া গ্রাম। অজ পাড়াগায়ের এই স্কুলে  তখনও দুই এক জন ভাল শিক্ষক পাওয়া যেত। আমাদের স্কুলের যে ভাল শিক্ষক ছিলেন তার নাম সুবোল স্যার। সেকেন্ড স্যার হিসেবে তাকে আমরা সম্বোধন করতাম। খুব কড়া ও রাগি শিক্ষক হিসেবে আমরা তাকে খুব ভয় পেতাম। তার পড়া না করে কেউ ক্লাসে যেত না। কোন কারণে কোন শিক্ষার্থীর সেকেন্ড স্যারের পড়া  না হলে শাস্তির পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থেকে পড়া করে দিতে হতো। শিক্ষক হিসাবে খুব কড়া হলেও যারা তার পড়া ঠিকমত করত; তাদের তিনি খুবই স্নেহ করতেন এবং লেখাপড়ায় উৎসাহ দিতেন। সেই হিসেবে আমিও তার কাছ থেকে খুবই আদর ও উৎসাহ পেয়েছি। সাংস্কৃতিক মনা মানুষ হিসেবে তার উৎসাহ ও উদ্দীপনার কোন কমতি ছিল না। আমার যত দূর মনে পড়ে নজরুল ইসলামের রচিত ‘শুকনো পাতার নুপুর পায়ে নাচিছে ঘুর্রি বায়, জলতরঙ্গের ঝিলিমিলি ঝিলিমিলি ঢেউ তুলে সে যায়” গানটি গাওয়ার সংগে সংগে যে নাচের মহড়া দিতেন তা আজও আমার স্পষ্ট মনে আছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো স্বাধীনতার সময়। স্বাধীনতার কথা বলতে গিয়েই স্মৃতিপটে সেই সময়ের দিনগুলোর কথা ভেসে ওঠে। আরও মনে পড়ে আমার ছোট বেলার কথা যখন আমি শিশুশ্রেণীতে পড়তাম। তখন শিক্ষকদের নির্দেশে আমাদের র‌্যালি হত। ওই র‌্যালিতে আমাদের শ্লোগান দিতে হত- ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আয়ুব খান- জিন্দাবাদ। জাতীয় সংগীত হিসেবে গাইতে হতো- ‘পাকসার জমিন সাদবাদ’। কিন্তু ওইসব শ্লোগান ও সংগীতের কোন অর্থই বুঝতাম না। ১৯৭০ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান আমলের শেষ স্বাধীনতা দিবস পালিত হল।

একটু বড় হয়ে জানলাম ১৯৭০ সালে নির্বাচনে সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে পাকিস্তান সরকার মোটেও আগ্রহী ছিল না। তারা ছলে-বলে-কলে-কৌশলে টালবাহানা করতে থাকে। সারাদেশ ক্রমান্বয়ে উত্তপ্ত হতে থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে(বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অগ্নিঝরা বক্তব্য দিলে ধৃমায়িত অসন্তোষে অগ্নি সংযোগ করে। জাতি সেই ভাষণে দিক নির্দেশনা পায়। ওই ভাষণের শেষে বঙ্গবন্ধু স্পষ্ট ঘোষণা দিলেন ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম” এই ভাষণের পর সারা দেশে মুক্তিকামী মানুষের মাঝে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। অপর পক্ষে পাকিস্তানীরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের নামে ভিতরে ভিতরে সেনা অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ  করতে থাকে। একপর্যায়ে  প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আলোচনার দরজা বন্ধ করে অপারেশন সার্চলাইট দলিলে স্বাক্ষর করে পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যান। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নেওয়া হয়। ঐ রাতে  ঢাকায় ক্রাকডাউন হয়। পাকিস্তানী বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙ্গালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হাজার হাজার নিরস্ত্র মানুষকে তারা নির্মাম ভাবে হত্যা করে। বাঙ্গালী ইপি,আর সর্বপ্রথম রাজারবাগে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সারা দেশে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। বাঙ্গালী রেজিমেন্টের সংগে এদেশের মুক্তকামী মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে থাকে।

ভারত সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দ্রা গান্ধীর আন্তরিক সহযোগীতার স্বাধীনতা যুদ্ধ বেগবান হয়। তারই স্বদিচ্ছায় ১৯৭১ সালে ১০ এপ্রিল বালিগঞ্জে মুজিবনগর সরকার গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া মেহেরপুরে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। সেই সরকারে শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকার প্রধান করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়।

গঠিত অস্থায়ী সরকারের সদস্যরা হলেন-

১। রাষ্ট্রপতি          –     বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
২। উপ-রাষ্ট্রপতি   –     সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
৩। প্রধানমন্ত্রী       –   তাজউদ্দীন আহম্মেদ
৪। পররাষ্ট্র মন্ত্রী     –     মুস্তাক আহম্মেদ
৫। অর্থ মন্ত্রী ক্যাপ্টেন –    মুনছুর আলী
৬। স্ব-রাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী –  এ, এইচ, এম কামারুজ্জামান
৭। সেনা প্রধান কর্ণেল  –     এম, এ, জি ওসমানী
৮। ডিপুটি চিপ-অব ষ্টাফ  –    এ, কে খন্দকার।

অস্থায়ী সরকার গঠনের পর আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্ব বেড়ে যায়। সারা বিশ্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে ভাবতে থাকে। এদিকে স্বাধীনতাকামী মানুষ দলে দলে ভারতে গিয়ে ভারত সরকারের সহযোগিতায় যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। এপ্রিল, মে ও জুন মাসে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় সকল মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। ঐ সকল স্মরণার্থীদের ভিতর থেকে কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। ২০ মে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজার ও তার আশপার্শ্বে পাকিস্তানী বাহিনী তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টায় সর্বকালের কুৎসিত গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যায় ঘাতক বাহিনী সমর্থবান পুরুষদের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে। এতেই প্রতিয়মান হয় ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল এই সব সামর্থবান পুরুষ যাতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে না পারে। চুকনগর গণহত্যার পর অসংখ্য মহিলা ও বাচ্চারা ভেরচী, চুয়াডাঙ্গা, কৃষ্ণনগর, পাঁজিয়া, বাগডাঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এই গণহত্যায় সবচেয়ে বেশি লোক নিহত হয় বটিয়াঘাটা উপজেলার। চুকনগর গণহত্যার পর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অধিক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় আমার গ্রামের হিন্দুরা ভারতে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ে। চুকনগর গণহত্যার পূর্বে আমি দেখেছি আমাদের গ্রামের মুসলমানরা হিন্দুদের এই বলে আশ্বস্ত করত, বাঁচলে তারা এক সাথে বাঁচবে, মরলে একসঙ্গে মরবে। এ কথার যথার্থতা দেখেছি আমার পিতা সহ মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন হিন্দু এলাকায় দিন-রাত পালাক্রমে পাহারার ব্যবস্থা করতো। চুকনগর গণহত্যা পর ২৬ জুন পাঁজিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় পাকিস্তানী বাহিনীর অপারেশন হয়। ঐ অপারেশনে চুয়াডাঙ্গা ডা. আহম্মদ আলীর বাড়ীতে জনৈক ইপিআর কমান্ডার অবস্থান করছেন এই সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গায় খান সেনা অপারেশন চালায় এবং ডা. আহম্মদের বাড়ির তৃতীয় তলায় সেল নিক্ষেপ করে। জানা যায় ঐ দিন ভোর-এ ঘুম থেকে উঠার পর সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইপিআর কমান্ডার স্ব-পরিবারে আহম্মদ ডাক্তারের বাড়ী থেকে বিলের পানিতে নেমে ধানক্ষেতে আত্মগোপন করে। খান সেনারা চলে গেলে ঐদিনই এক বস্ত্রে ইপিআর কমান্ডার স্ব-পরিবার ভারতে চলে যান। অপারেশনে চুয়াডাঙ্গায় একজন মারা গেলেও পাঁজিয়াতে কেউ মারা যায়নি। কিন্তু পাঁজিয়াতে কোন কোন বাড়ীতে খান সেনারা ঢুকে মেয়েদের শ্লীলতাহানী করেছে বলে জানা যায়। চুয়াডাঙ্গা ও পাঁজিয়াতে পাক সেনারা আসার পর এ অঞ্চলে হিন্দুরা আরও ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এই ঘটনার পর আমাদের গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একদিন আমাদের বাড়ীতে আসে এবং আমার পিতাকে বুঝানোর চেষ্টা করে, যে তারা বিশ্বাস করে আমাদের গ্রামের মুসলমানেরা তাদের উপর কোন অত্যাচার আসার পূর্বেই সকলে মিলে সেটা প্রতিরোধের চেষ্টা করবে। কিন্তু তাদের ক্ষমতার বাহিরে চুকনগরের ন্যায় অস্ত্রধারীরা যদি আক্রমণ করে, তবে আত্মরিকতা থাকার সত্ত্বেও মুসলমানরা তাদের রক্ষা করতে পারবে না। পাশাপাশি যারা রক্ষা করতে চেষ্টা করবে তারাও জীবনের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এই কথা আমার পিতার কাছে যুক্তিগ্রাহ্য বলে মনে হলো এবং তিনি বুঝতে পারলেন একই সাথে বেড়ে উঠা, পাশাপাশি বসবাস করা এই মানুষগুলো সঙ্গে হয়তো আর কখনও দেখা হবে না। এই ভেবে আমার পিতা বাচ্চা শিশুর মত হাউ মাও করে কেঁদে উঠলেন। এরপর হিন্দু সমাজের সকলেই যে যার মতন গোজগাছ করে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধা এই দুই পক্ষেই ছিল না। এই সময় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের নক্শাল বাহিনীর উত্থান ঘটে। তারা শ্রেণী শত্রু খতমের নামে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে থাকে। তাদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গৃহস্থ শ্রেণীর লোকেরা পালিয়ে বেড়াতে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন অঞ্চলে তাদের দ্বারা প্রকাশ্য দিনে বা রাতে ধারালো অস্ত্রদ্বারা মানুষদের কেটে ফেলত। সে সময় কপালিয়া, টোলনা, চেঁচুড়ী, মনোহরপুর অঞ্চলে প্রকাশ্য দিবালোকে নক্শালরা ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াত। ওই সময় আমার পিতাকে আমি নক্শালদের ভয়ে পালিয়ে থাকতে দেখেছি। নাক্শালদের হাত থেকে বাঁচতে গৃহস্থ পরিবারের গৃহকর্তারা যে যেখানে পেরেছে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছে। ইতিমধ্যে পাকিস্তান সরকার দেশে রাজাকার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করে। তারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নামে ভিন্ন মতের মানুষদের হত্যা করতে থাকে। মাঝে মধ্যে রাজাকার ও নকশালদের ভিতর খন্ড যুদ্ধ হতে শোনা যেত। পাশাপাশি দুষ্ট প্রকৃতির লোকেরা হত্যা, ছিনতাই, লুটপাট, হরহামেশা করতো। যারা জীবনের ভয়ে ভিটের মাটি ছেড়ে কষ্ট করে ভারতে গিয়েছিল তারা অনন্তঃ কষ্ট করে হলেও জীবনের নিরাপত্তা পেল। কিন্তু যারা দেশে রয়ে গেল তাদের জীবনের ভয় ছিল প্রকট। মৃত্যুভয় সব সময় তাদের তাড়িয়ে বেড়াত। কে, কখন, কিভাবে তাদের জীবনের প্রতি হামলা করবে, এই দুঃচিন্তা ছিল তাদের সারাক্ষণ। মুক্তিযোদ্ধা, খানসেনা, রাজাকার, নকশাল ও দুঃকৃতদের ভয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কিত থাকত। জীবনটা হাতে নিয়ে কাটত তাদের রাতদিন। হিন্দু এলাকার জনশূন্য বাড়ীগুলোয় সন্ধার পর ভূতুড়ে পরিবেশে  বিরাজ করত।

দিন যতই যেতে লাগলো সকল সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাফল্য বাড়তে থাকলো। আমাদের গ্রামের শিক্ষিত মানুষরা গোপনে স্বাধীন বাংলা বেতর কেন্দ্র থেকে খবর পেয়ে খুব সাবধানে স্বাধীনতা যুদ্ধে আগ্রহিদের জানাত। এই সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এম, আর আক্তার মুকুল-এর চরম পত্র অনুষ্ঠানটি খুবই জনপ্রিয় ছিল। প্রতিদিন মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের ও অগ্রগতির সংবাদ তার মাধ্যমে বাঙ্গালী জানতে পারত। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারত ও রাশিয়ার বিমান হামলা বেড়ে যায়। যুদ্ধের বিমান একটি আর একটিকে ধাওয়া করলে উল্টে-পাল্টে উচু-নিচু হয়ে উড়লে, আমার মত ছোটরা আনন্দ পেত। ডিসেম্বর মাসে প্রথমার্ধে চারিদিক থেকে বিজয়ের খবর আসতে থাকলো। এরপর এলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ। যে সময়ের জন্য বাঙ্গালী জাতি চাতক পাখির মত চেয়েছিল। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানী বাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি ৯৩ হাজার সৈন্যসহ যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনায় পূর্ব পাকিস্তানের খোলসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। প্রমাণিত হলো বাঙ্গালী বীরের জাতি। বাঙ্গালীর ঠিকানা – পদ্মা, মেঘনা, যমুনা। বাঙ্গালীর সংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মোঃ রুহুল আমিন

অধ্যক্ষ, পাঁজিয়া ডিগ্রী কলেজ, ডাকঘরঃ পাঁজিয়া, উপজেলাঃ কেশবপুর, জেলাঃ যশোর।
সাংবাদিক ও কলামমিস্ট।
মোবাঃ ০১৭১৮-৬১১৫৫০, ই-মেইলঃ  ruhulamin0655@gmail.com

পত্র প্রাপ্তির ঠিকানাঃ 

মোঃ রুহুল আমিন (অধ্যক্ষ), গ্রাম- আলতাপোল (অফিস পাড়া), উপজেলা রোড, উপজেলা মসজিদ সংলগ্ন, ডাকঘর- কেশবপুর, জেলা- যশোর।